Posts

Showing posts from April, 2018

কমলার উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ

Image
কমলা একটি সুস্বাদু ও সহজলভ্য ফল যা প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। চোখ ধাধানো রঙ ও পুষ্টিগুণে ভরপুর কমলা ফল হিসেবে বা জুস করে খাওয়া হয় কিংবা জেম, জেলি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন কমলা খেলে শরীরের নানান সমস্যা ও রোগ বালাই থেকে দূরে থাকা যায়। কমলা লেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফ্ল্যাভনয়েড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও ডায়েটারি ফাইবার থাকে। একজন মানুষের প্রতিদিন যে পরিমাণ ভিটামিন সি প্রয়োজন হয়, তার প্রায় পুরোটাই একটি কমলালেবুতে পাওয়া যায়। ওজন কমানো, ত্বকের পুষ্টি এমন কি হৃদযন্ত্র ভালো রেখে শরীরে রক্ত চলাচল নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে কমলা। তাছাড়া কমলায় রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা সেল ড্যামেজ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।  কমলার রয়েছে আরো অনেক উপকারিতা, আসুন জেনে নেই কমলার উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সমূহ। কমলার পুষ্টিগুণঃ কমলা লেবু নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম কমলাতে রয়েছে – উপাদান পরিমাণ খাদ্যশক্তি ৪৯ কিলোক্যালরি আমিষ ০.৯৪ গ্রাম শর্করা ১১.৮৯ গ্রাম ফাইবার  ২.৫ গ্রাম কোলেস্টেরল ০ মিলিগ্রাম চর্

আপেল খাওয়ার ১০টি উপকারিতা

Image
খিদে পেলেই তো হাতে তুলে নিচ্ছি বার্গার অথবা পিৎজা। পেট ভরলেই ভেবে নেই শরীরও ভরলো। যদিও, এটি খুবই ভুল ধারণা। আসলে এই ধরনের খাবারগুলো আমাদের শরীরকে আরও খারাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই, শরীরে বাসা বাঁধছে হাজারো সমস্যা। ২০০৪ সালে আমেরিকায় ১০০-এরও বেশি খাবারের ওপর গবেষণা করে হয়। মূলত, খাদ্যগুলোর মধ্যে কতটা পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, তা জানতেই এই গবেষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে লাল এবং সবুজ আপেল যথাক্রমে ১২ এবং ১৩তম স্থানে রয়েছে। তো দেখে নেওয়া যাক, আপেলের কোন কোন গুণ আমাদের কিভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ১.সাদা ঝকঝকে দাঁত আপেল খেলে দাঁতের দারুণ উপকার হয়। তার কারণ, আপেলে কামড় দিয়ে যখন আমরা চিবোতে শুরু করিই, তখন আমাদের মুখের ভিতর লালার সৃষ্টি হয়। এই পদ্ধতিতে দাঁতের কোণা থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে আসে। এর ফলে সেই ব্যাকটেরিয়া আর দাঁতের কোনও ক্ষতি করতে পারেনা। তাই বলে, শুধু আপেল খেয়ে দাঁতের যত্ন নিতে যাবেন না যেন! মনে করে, পেস্ট ব্রাশ ব্যবহার করে দাঁতের যত্ন নেবেন। ২.ক্যান্সার দূর করে: আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপেল

সুস্বাদু স্ট্রবেরীর ১০টি অনন্য স্বাস্থ্য উপকারিতা

Image
স্ট্রবেরী! নাম শুনলেই জিভে পানি চলে আসে অনেকেরই। টকটকে লাল রঙের এই লোভনীয় ফলটি দেখতে যেমন সুন্দর স্বাদেও তেমন অতুলনীয়। শুধু রূপ আর স্বাদই না, এর আছে বহুগুণ। স্ট্রবেরীতে আছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান যা শরীরের নানান রোগবালাই দূর করে আর শরীরকে রাখে সুস্থ।  আসুন জেনে নেয়া যাক স্ট্রবেরীর ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় স্ট্রবেরীতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন রকম সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। মাত্র এক কাপ স্ট্রবেরী প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর চাহিদার ১০০% পূরণ করতে সক্ষম। হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমায় দেখতে কিছুটা হার্টের মত এই ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভনয়েড ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই উপাদান গুলো শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদপিন্ড ভালো রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও স্ট্রবেরী রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। ডায়াবেটিস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে স্ট্রবেরীতে আছে প্রচুর ফাইবার যা ডায়াবেটিস ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। ফাইবার রক্তের চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটি

সফেদা ফলের ১৪টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

Image
সফেদা (Sapota) একটি পুষ্টি মান সমৃদ্ধ অত্যান্ত মিষ্টি, সুস্বাদু ও সুন্দর গন্ধযুক্ত একটি ফল। এটিকে প্রাকৃতিক পুষ্টির দোকান ঘর বলা হয়। এটি খাদ্যশক্তি কিলোক্যালরি শর্করা, আমিষ, ভিটামিন, ফলেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়া, ফসফরা, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ও জিংক এর একটি সমৃধ্য উৎস। এছাড়াও এতে রয়েছে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের, ভিটামিন এ, সি এবং ই, তামা, লোহা, ইত্যাদি। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য সফেদায় রয়েছে খাদ্যশক্তি ৮৩ কিলোক্যালরি, শর্করা ১৯.৯৬ গ্রাম, আমিষ ০.৪৪ গ্রাম, ভিটামিন বি২ ০.০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৩ ০.২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৫ ০.২৫২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ ০.০৩৭ মিলিগ্রাম, ফলেট ১৪ আইইউ, ভিটামিন সি ১৪.৭ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ২১ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৮ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১২ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১২ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৯৩ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১২ মিলিগ্রাম, জিংক ০.১ মিলিগ্রাম।   চলুন জেনে নেই সফেদার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা: ১। সফেদা একটি ফাইবার সমৃদ্ধ ফল, তাই একে প্রাকৃতিক জোলাপ হিসেবে ব্যাবহার করা যায়। এতে পর্যাপ্ত খাদ্য আঁশ রয়েছে যা হজম বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্য

শশার উপকারিতা

Image
সারা বিশ্বে আবাদ হওয়ার দিক থেকে ৪ নম্বরে রয়েছে যে সবজিটি, সেটি হলো শসা। শসার রয়েছে হরেক গুণ। রূপচর্চা ও মেদ নিয়ন্ত্রণসহ নানা উপযোগিতা আছে এই সহজলভ্য সবজির। শসার হাজার গুণের মধ্যে ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন খাদ্য বিশেষজ্ঞরা ।  আসুন , একবার নজর বোলাই : দেহের পানিশূন্যতা দূর করে ধরুন আপনি এমন কোথাও আছেন, যেখানে হাতের কাছে পানি নেই, কিন্তু শসা আছে। বড়সড় একটা শসা চিবিয়ে খেয়ে নিন। পিপাসা মিটে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন চনমনে।কারণ, শসার ৯০ শতাংশই পানি। দেহের ভেতর - বাইরের তাপ শোষক কখনো কখনো আপনি শরীরের ভেতর-বাইরে প্রচণ্ড উত্তাপ অনুভব করেন। দেহে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। এ অবস্থায় একটি শসা খেয়ে নিন।এ ছাড়া সূর্যের তাপে ত্বকে জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে ত্বকে ঘষে নিন। নিশ্চিত ফল পাবেন। বিষাক্ততা দূর করে শসার মধ্যে যে পানি থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাটার মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খাওয়ায় কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়। প্রাত্যহিক ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে প্রতিদিন আমাদের দেহে যেসব ভিটামিনের দরকার হয়, তার বেশির ভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটাম

লটকনের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

Image
নানান ফলের ভিড়ে লটকনের গুণের কথা আজও অনেকের অজানা। লটকন একটি পুষ্টিকর ফল। এতে ভিটামিন ও খাদ্যশক্তিসহ নানারকম খনিজ উপাদান রয়েছে। পুষ্টিগুণ : লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভিটামিন ‘বি'। এতে ভিটামিন বি-১ এবং ভিটামিন বি-২ আছে যথাক্রমে ১০ দশমিক ০৪ মিলিগ্রাম এবং ০.২০ মিলিগ্রাম। পাকা লটকন খাদ্যমানের দিক দিয়ে খুবই সমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনের কোয়ায় খাদ্যশক্তি থাকে প্রায় ৯২ কিলোক্যালরি। অবাক বিষয় হলো এতে ক্যালরি আছে আমাদের জাতীয় ফল হিসেবে পরিচিত কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ। লটকনে ভিটামিন ‘সি' আছে প্রচুর। সিজনের সময় প্রতিদিন দুই-তিনটি লটকন খাওয়া মানেই আমাদের দৈনন্দিন ভিটামিন ‘সি'র চাহিদা পূরণ হওয়া। এ ছাড়া এ ফলে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে চর্বি, আমিষ, লৌহ এবং খনিজ পদার্থ। উপকারিতা : লটকন খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় সহজেই। তৃষ্ণাও নিবারণ করে। মানসিক চাপ কমায় এ ফল। এর গাছের ছাল ও পাতা খেলে চর্মরোগ দূর হয়। লটকন গাছের শুকনো গুঁড়ো পাতা ডায়রিয়া বেশ দ্রুত উপশম হয়। এর গাছের পাতা ও মূল খেলে পেটের পীড়া ও পুরান জ্বর নিরাময় হয়। এমনকি গনোরিয়া রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এ ফলের বীজ।

যে ৫ টি কারণে লিচু বেশি করে খাবেন

Image
ফলের রাজা হিসেবে আমরা আম বুঝলেও চীনে কিন্তু রাজা পরিবর্তন হয়েছে। তারা ফলের রাজা হিসেবে এগিয়ে রাখে লিচুকে। চীনের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে লিচুর প্রচুর ব্যবহার এর একটি কারণ হলেও, লিচুর অসাধারণ সব গুণ জানলে এটিকে ফলের রাজা হিসেবে মানতে আপনার কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে আসুন চীনের ফলের রাজার কিছু অজানা গুণ সম্পর্কে জেনে আসি।  ১) ওজন কমাতেঃ লিচুতে প্রচুর ফাইবার এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে। যা মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মেটাবলিজম শক্তি কম হলেই মানুষের দেহে চর্বি বেড়ে যায়। লিচু এই মেটাবলিজম বৃদ্ধিতে দারুণ ভূমিকা পালন করে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত ওজন হ্রাসে সাহায্য করে। ২)রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ লিচু ভিটামিন ‘সি’ এর একটি অসাধারণ উৎস। প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ সাথে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে লিচু বেশ কিছু রোগ প্রতিরোধ করে। যেমনঃ সর্দির সমস্যা, ফ্লু, কাশি। এছাড়াও বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে লিচু কার্যকরী একটি ফল। ৩) বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেঃ সময়ের সাথে মানুষ বৃদ্ধ হয় স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে দূষণ, কালো ধোঁয়া, ভেজাল খাদ্য সহ আরো নানা কার

মাল্টার যত গুণ

Image
আমাদের দেশে বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় ও সহজলভ্য একটি ফল হচ্ছে মাল্টা। এটি প্রায় সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায় এবং দামে সস্তা। মাল্টা অনেকের কাছেই প্রিয় একটি ফল। পরিবারের শিশুরাও এটি খেতে বেশ পছন্দ করে। জনপ্রিয় এই ফলটির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা হয়তো অনেকেই জানি না। মাল্টাতে আছে, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং চর্বিমুক্ত ক্যালরি। শুধু তাই নয়, এটির স্বাস্থ্যগুণও কম নয়! আসুন জেনে নিই মাল্টার কিছু ঔষুধি গুণ- * শীতকালীন ঠোঁট ফাটা, পায়ের তালু ও হাতের তালু ফাটা রোগ রোধ করে মাল্টা।  *সর্দি, নাক বন্ধ থাকা, টনসিলের সমস্যা, গলাব্যথা, জ্বর জ্বর ভাব, হাঁচি-কাশি, মাথাব্যথা, ঠান্ডাজনিত দুর্বলতা-এজাতীয় সমস্যাগুলো দূর করে মাল্টা । * মাল্টা পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে। নিয়মিত কমলা খাওয়ার অভ্যাস পাকস্থলীর আলসার ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সুরক্ষা দেবে। পাকস্থলীকে স্স্থু রাখে। * মাল্টা ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল যা এন্টি অক্সিডেন্ট সমুহের উৎস। এটি ত্বকে সজীবতা বজায় রাখে এবং ত্বকের বলি রেখা প্রতিরোধ করে লাবণ্য ধরে রাখে। মাল্টা ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি প্রদাহ জনিত রোগ সারিয়ে তোলে। * মাল্টা

বাঙ্গির উপকারিতা

Image
গ্রাষ্মীকালীন ফলগুলোর মধ্যে বাঙ্গি অন্যতম। ফলিক এসিডে ভরপুর এই ফল। ফলিক এসিড রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। এজন্যে গর্ভবতী মায়েদের জন্য বাঙ্গি বেশ উপকারী। বাঙ্গিতে নেই কোনো চর্বি বা কোলস্টেরল। তাই বাঙ্গি খেলে মুটিয়ে যাওয়ার ভয় নেই। বরং দেহের ওজন কমাতে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এর ভূমিকা অনেক। এতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণের ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিন। বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন সি-র সংমিশ্রণে শরীরের কাটাছেঁড়া দ্রুত শুকায়। এতে চিনির পরিমাণ খুব কম। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও বাঙ্গি যথেষ্ট উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ডায়াটারি ফাইবার, যা খাবার হজমে সাহায্য করে। অতিরিক্ত সূর্যতাপে সানবার্ন, সামার বয়েল, হিট হাইপার পাইরেক্সিয়া হয়। অতিরিক্ত গরম বা রোদের তাপ লাগলে এই অসুখগুলো হয়। বাঙ্গির রস এই রোদে পোড়া দূর করে ত্বক ও শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে। ফলে ত্বকের মসৃণতাও নষ্ট হয়না। ত্বককে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এসিডিটি, আলসার, নিদ্রাহীনতা, ক্ষুধামান্দ্য, হাড়ের ভঙ্গুরতা রোধ করে বাঙ্গি। বিশেষ করে নারীদের হাড় মজবুত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে বাঙ্গি। মনের অবসা

বেলের যত উপকারিতা

Image
বেল আমাদের দেশের একটি দারুণ জনপ্রিয় একটি ফল। অন্যান্য ফলের তুলনায় এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কোনো অংশে কম নয়। গরমের দিনে এক গ্লাস বেলের শরবত শরীর ও মনে তৃপ্তি যোগায়। বেল পেটের নানা রকম রোগ সারাতে জাদুর মতো কাজ করে, কাঁচা বেল ডায়রিয়া ও আমাশায় রোগে ধন্বন্তরী ওষুধ হিসাবে বিবেচিত। বেল কাঁচা অবস্থায় সবুজ বর্ণের থাকে, আর পেকে গেলে হলদে রঙ ধারণ করে। কচি বেল খাওয়াই উত্তম। তবে পাকা বেলও বেশ উপকারী। প্রতি ১০০ গ্রাম বেলের শাঁসে পাওয়া যায়: পানি ৫৪.৯৬-৬১.৫ গ্রাম প্রোটিন ১.৮-২.৬২ গ্রাম স্নেহ পদার্থ ০.২-০.৩৯ গ্রাম শর্করা ২৮.১১- ৩১.৮ গ্রাম ক্যারোটিন ৫৫ মিলি গ্রাম থায়ামিন ০.১৩ মিলিগ্রাম রিবোফ্লেবীন ১.১৯ মিলিগ্রাম এসকরবিক এসিড ৮-৬০ মিলিগ্রাম নিয়াসিন ১.১ মিলিগ্রাম টারটারিক এসিড ২.১১ মিলিগ্রাম বেলের বহুমুখী উপকারিতা: -বেলের শরবত খাবার সহজে হজম হতে সাহায্য করে। পেটের সমস্যা থাকলে তা দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে। -প্রতিদিন বেলের শরবত পান করলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়। -কাঁচা বেল ডায়রিয়া ও আমাশয় রোগের এবং পাকা বেল কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের মহৌষধ। -পাইলস, অ্যানাল ফিস্টুলা, হে

ধূমপান ছাড়তে চাইলে যা করবেন

Image
ধূমপায়ীর সংখ্যা যেমন বাড়ে, তেমন ছাড়ার সংখ্যাও কম নয়। তবে অনেকে ধূমপান ছাড়ার ঘোষণা দিয়েও ছাড়তে পারেন না। তাদের জন্য রয়েছে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি। যা ধূমপানের নেশাকে ছাড়াতে দারুণ কাজ করে। এ ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরে এ পদ্ধতিগুলো কাজে লাগাতে হবে। আসুন দেখে নেই পদ্ধতিগুলো- মরিচের গুঁড়া এক গ্লাস পানিতে অল্প মরিচের গুঁড়া ফেলে সেই পানি পান করলে ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে। সেই সঙ্গে ধূমপানের কারণে লাংয়ের যে ক্ষতি হয়, তা ধীরে ধীরে কমে। এছাড়া ধূমপানের ইচ্ছাও কমে। মুলেঠি ধূমপানের নেশা ছাড়াতে মুলেঠি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত মুলেঠি চিবানো শুরু করলে একদিকে যেমন ধূমপানের ইচ্ছা কমে, তেমনি নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপও হ্রাস পায়। মুলা ১ গ্লাস মুলার রসের সঙ্গে পরিমাণমতো মধু মিশিয়ে দিনে দু’বার খেলে ধূমপানের ইচ্ছা একেবারে কমে যায়। আঙুর আঙুরের রস শরীরের ভেতরে জমতে থাকা টক্সিন বের করে নেয়। ফলে একদিকে যেমন ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তেমনি সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাও কমতে শুরু করে। আদা ধূমপান ছাড়তে চাইলে আদার সাহায্য নিন। এতে উপস্থিত বেশকিছু উপাদান নানাভাবে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাকে দমি

পানিফলের উপকারিতা

Image
পানসে স্বাদযুক্ত হালকা মিষ্টি ও কষযুক্ত ফল পানিফল। সাধারণত হালকা গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে এ ফল। এটি ভাসমান বিস্তৃত জলজ ও শ্যাওলাজাতীয় জলসঞ্চারী উদ্ভিদ। এর পাতা ২-৩ ইঞ্চি চওড়া ও ৩-৪ ইঞ্চি লম্বা হয়। এটি ত্রিকোণাকার মোটা এবং দুই কোণে দুটি ধারালো কাঁটা থাকে। পানিফলের গাছ সবুজ রঙের হলেও ফলের রঙ কালো। তবে ফলের ভেতরের শাঁস সাদা। ফলের ছাল ফেলে ভেতরে সাদা অংশ খাওয়া হয়। পানিফল শিংড়া নামেও পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Trapa natans এটি Trapaceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ। এটি একটি বর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। এটি ৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পানির নিচে মাটিতে এর শিকড় থাকে এবং পানির উপর পাতাগুলো ভাসতে থাকে। এটি বাংলার একটি পরিচিত গাছ। ফলগুলোতে শিং এর মতো কাঁটা থাকে বলে এর শিংড়া নামকরণ হয়েছে বলে মনে করা হয়। পানিফল কাঁচা, সিদ্ধ দুভাবেই খাওয়া যায়। এই ফলগুলো ১২ বছর পর্যন্ত অংকুরোদগম সক্ষম থাকে। অবশ্য ২ বছরের মধ্যে অংকুরোদগম হয়ে যায়। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় ৩০০০ বছরে পূর্বেও চীনে এর চাষ হতো। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং ওয়াশিংটনে পানিফল উদ্ভিদকে অনেক সময় জলজ আগাছা হিসবে গণ

পেপের উপকারিতা

বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা পাওয়া যাবে না যেখানে পেঁপে পাওয়া যায় না।পেপের উপকারিতা অনেক।পেঁপে একটি সবজি বা ফল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী । কাঁচা অবস্থায় পেঁপে সবজি আর পাকা অবস্থায় ফল। এই জন্য পেঁপেকে ফলের রাজা বলা হয়। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণ মিনারেল, অ্যানটিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শুধু তাই নয়, পেঁপেকে ভিটামিনের স্টোর বলা হয়।জেনে নিন পেপের উপকারিতা গুলো। অন্যান্য ফলের তুলনায় পেঁপেতে ক্যারোটিন অনেক বেশি থাকে। কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকায় যারা মেদ সমস্যায় ভুগছেন তারা অনায়াসে খেতে পারেন এ ফলটি। নিচে  কাঁচা পেঁপের উপকারিতা পুষ্টিগুণের কথা তুলে ধরা হল- * অন্ত্রের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে : পেঁপের বীজে আছে এন্টি- অ্যামোবিক ও এন্টি-প্যারাসিটিক বৈশিষ্ট্য যা অন্ত্রের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি এটি বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিড রিফ্লাক্স, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, অন্ত্রের সমস্যা, পেটের আলসার ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকেও রক্ষা করে। * ত্বকের সমস্যা ও ক্ষত দূর করে : পেঁপেতে বিদ্যমান পুষ্টিগুণ ব্রণ ও ত্বকের যে কোন ধরনের সংক্রামক থেকে রক্ষা ক

পেয়ারার ৮ উপকারিতা

Image
দেশী ফলগুলোর মধ্যে পেয়ারা বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি ফল। সাধারণ এবং সহজলভ্য এই ফলটির পুষ্টিগুণ অনেক। পেয়ারা ভর্তা, পেয়ারা জেলী নানভাবে খাওয়া যায় মজাদার এই ফলটি। শুধু ফল নয়, পেয়ারা পাতায়ও রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। বহুগুনী এই পেয়ারার স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে আজকের এই ফিচার। পেয়ারার পুষ্টিগুণ: পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ। একটি পেয়ারাতে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে একটি মাঝারি আকৃতির কমলা থেকে। ১০ গুণ বেশি ভিটামিন এ রয়েছে লেবুর তুলনায়। এছাড়া ভিটামিন বি২, ই, কে, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রন, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম রয়েছে। উপকারিতা: ১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগের সাথে যুদ্ধ করার শক্তি প্রদান করে। ২। ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পেয়ারাতে লাইকোপিন, ভিটামিন সি, কোয়ারসেটিন এর মত অনেকগুলো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা শরীরের ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করে। এটি প্রোসটেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ৩। হার্ট সুস্থ রাখতে ১৯৯৩ সালে “Journal of

ননী ফলের ১০টি অজানা উপকারিতা

Image
ওপরের লেখা দেখে নিশ্চয়ই ভাবছেন এটা আবার কি ফল।নামও শোনেননি নিশ্চয়ই কেউ কেউ।নাম না জানলেও,এই ফলের রয়েছে কিছু অসাধারণ উপকারিতা যেগুলো আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য।সেরমই কিছু গুণ রয়েছে এই ফলের যেগুলো আমরা জানিই না।চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের কি কি উপকার করে এই ননীফল। ১. হাড়ের সমস্যায় হাড়ের সমস্যার ক্ষেত্রে ননী ফলের রস খুব উপকারী।এমনটাই মনে করছেন ফরটিস্ হসপিটালের চিকিৎসক ডক্টর আহুজা।তাঁর দাবী যারা হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন,গাঁটে গাঁটে ব্যথা,তাদের ক্ষেত্রে এই ফল খুব উপকারী।তারা যদি রোজ এই ফলের রস বা শরবত খেতে পারেন,তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ভালো ফল পাবেন।ব্যথা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন।তীব্র হাঁটুর যন্ত্রনায় যারা ভুগছেন,তাদের এই ননী ফলের শরবত খাওয়ার কথা বলেন তিনি।আর্থ্রারাইটিসের সমস্যায় ভোগা রুগীদের ক্ষেত্রে এই ননী ফল কিন্তু আশীর্বাদ স্বরূপ। ২. ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা অনেকের শরীরেই ইউরিক অ্যাসিড বেশী থাকে।অর্থাৎ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায় যেটার কারণে নানান সমস্যা হয়।হাঁটুতে প্রচণ্ড ব্যথা থাকে।এছাড়াও আরও নানান সমস্যায় পড়তে হয়।এই বিরক্তিকর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়

নিমপাতার গুনাগুন ও উপকারিতা

Image
নিম পাতা প্রায় সবার কাছে পরিচিত। বিশেষ করে গ্রাম-বাংলায় নিম গাছ বেশি দেখা যায়। ভেষজ চিকিৎসায় নিম পাতার ব্যবহার বহুল। নিম গাছের ভয়ে এইডস্ কাঁপে’ – হ্যাঁ কথাটি ঠিকই পড়ছেন, নিম পাতা এইডস্ এর ভাইরাসকে মেরে ফেলতে অনেক সাহায্য করে থাকে। যদি বাড়িতে একটি নিমগাছ থাকে একজন ডাক্তারের চেয়ে ও বেশী কাজ করে। নিম (বৈজ্ঞানিক নাম:AZADIRACHTA INDICA) ঔষধি গাছ যার ডাল, পাতা, রস, ফুল, ফল, তেল, বাকল, শিকড় সবই কাজে লাগে। নিম একটি বহু বর্ষজীবি ও চির হরিত বৃক্ষ। আকৃতিতে ৪০-৫০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এর কান্ড ২০-৩০ ইঞ্চি ব্যাস হতে পারে। ডালের চারদিকে ১০-১২ ইঞ্চি যৌগিক পত্র জন্মে। পাতা কাস্তের মত বাকানো থাকে এবং পাতায় ১০-১৭ টি করে কিনারা খাঁজকাটা পত্রক থাকে। পাতা ২.৫-৪ ইঞ্চি লম্বা হয়। নিম গাছে এক ধরনের ফল হয়। আঙুরের মতো দেখতে এ ফলের একটিই বিচি থাকে। জুন-জুলাইতে ফল পাকে, ফল তেতো স্বাদের। বাংলাদেশের সবত্রই জন্মে তবে উত্তরাঞ্চলে বেশি দেখা যায়।   নিমের ফুল, পাতা ,বাকল তেল ব্যবহার করে মানুষের প্রায় ১০০ রোগের চিকিৎসা করা হয়। যেমন- ম্যালেরিয়াঃ নিম পাতার নির্যাস ব্যবহারে ম্যালেরিয়া প্রশমিত হয়। পান

নাশপাতি খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

Image
নাশপাতি ফলটি সাধারণত রসালো তবে গাছে থাকা অবস্থায় ভালভাবে পাকে না। নাশপাতিতে বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন-এ, বি-১, বি-২, ই, ফলিক এসিড এবং নিয়াসিন নামক পুষ্টিকর উপাদান। এ ছাড়া ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, আয়রনসহ অন্যান্য মিনারেলের উৎকৃষ্ট উৎস। নাশপাতি খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা:  ১. খুশকি ও চুল পড়া :  খুশকি ও পেটের পীড়ার কারণে মাথার চুল পড়ে গেলে সিকি কাপ নাশপাতির রস ১০-১৫ দিন খেলে চুল পড়া ও খুশকি দূর হয়। ২. মাড়ি ক্ষয়রোধ : দাঁতের মাড়ি ক্ষতিগস্ত হলে নাশপাতির রস ও অল্প ফিটকারি মিশিয়ে রেখে সকালে খেলে মাড়ির ক্ষয় পূরণ হয়। ৩. কোষ্ঠকাঠিন্য :   কোষ্ঠকাঠিন্য তাড়াতে নাশপতির জুড়ি নেই। বিকালে বা রাত্রে খাওয়ার পর নাশপাতি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। ৪. হৃদরোগে :   করোনারি থ্রম্বোসিস, হার্ট ব্লক, মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্যাকশন ইত্যাদি রোগে প্রতিদিন ২-৩ টুকরো নাশপাতি খেলে খুবই উপকার হয়। এ ফলের ৮৩ শতাংশই পানিতে পরিপূর্ণ। আবরণ অংশটি সবুজ অথবা লালচে প্রকৃতির হয়ে থাকে। ফলের কেন্দ্রস্থলটি বেশ নরম। জ্যাম, জেলি অথবা রসালো অবস্থায় বাজারজাতকরণ করা হয়ে থাকে। শক্ত ভূমিতে ন

নারিকেল এর উপকারিতা

Image
ফল হিসেবে নারিকেলের অবস্থান অনন্য এক তালিকায়, একইসাথে পিপাসা এবং ক্ষুধা নিবারণ করে ফলটি। গ্রীষ্মকালের কাঠফাটা রোদে এক গ্লাস ডাবের পানি যেন অমৃত। আমাদের বাঙালিদের পিঠা-পায়েস নারিকেল ছাড়া যেন অকল্পনীয়। গ্রামে গেলে এমন একটি বাড়ি খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর, যেখানে গেলে আপনাকে মুড়ি আর নারিকেলের নাড়ু দিয়ে আপ্যায়ন করবে না। একমাথা ঝলমলে সুন্দর চুলের জন্য যেমন নারিকেলের তেলের বিকল্প নেই, ঠিক একইভাবে লাবণ্যময় এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য নারিকেল তেলের তুলনা হয় না। নারিকেলের পানি বা নারিকেল থেকে তৈরি মজাদার সব খাবার নিয়ে নয়, আজকের লেখাটি নারিকেলের এক বিশেষ অংশ, এর শাঁসের সব রকম স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়েই সাজানো। নারিকেলের পুষ্টিগুণ নারিকেলের শাঁসের স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার আগে আপনাদের জানাবো নারিকেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। দারুণ স্বাদের এই নারিকেল শাঁস কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, বরং এটি আমাদের শরীরের জন্য দরকারি নানা পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ। নারিকেলের শাঁস ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, বি৯, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইট্রেড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, জিংক,

তরমুজ এর উপকারিতা

Image
এক মাত্র গ্রীষ্ম ঋতুতেই তরমুজ ফল জন্মে। তরমুজ সরস, ও মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। এতে থাকে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি, ভিটামিন এবং খনিজ।  তরমুজের বৈজ্ঞানিক নাম হল Citrullus lanatus. ঠান্ডা তরমুজ গ্রীষ্মকালে বেশ জনপ্রিয়। এতে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে। এই ফল এ ৬% চিনি এবং ৯২% পানি এবং অনন্য জিনিস ২%। ভিটামিন এ, সি, বি২, বি৬, ই ও ভিটামিন সি, কি নেই এ ফলটিতে! আরও আছে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, বিটা ক্যারোটিন, লাইকোপিনসহ নানা উপাদান। স্বল্প ক্যালোরিযুক্ত এ ফলটি আপনার ওজনকেও রাখবে নিয়ন্ত্রণে।  তরমুজের পুষ্টিগুণঃ প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা তরমুজে রয়েছেঃ উপাদান পরিমান পানি ৯২ থেকে ৯৫ গ্রাম আঁশ

তেঁতুলের কিছু অজানা উপকারিতা

Image
তেঁতুল পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া খুব কঠিন। বিশেষ করে তরূণীদের খাবারের তালিকায় উপরের দিকেই পাওয়া যায় এর নাম। তবে অনেকেরই ধারণা তেঁতুল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয়। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বরং তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি ও ভেষজ গুণ। তেঁতুল দেহে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী। আসুন জেনে নেই টকের আধার হিসেবে খ্যাত তেঁতুলের কিছু অজানা উপকারিতা। ১. হার্ট ঠিক রাখে দেখা গেছে তেঁতুল খুবই হার্ট ফ্রেন্ডলি। এতে উপস্থিত ফ্ল্যাভরনয়েড ব্যাড কোলেস্টেরল কমায় এবং গুড কোলেস্টেরল বাড়ায়। এছাড়াও রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড (এক ধরনের ফ্যাট) জমতে দেয় না। এতে উপস্থিত উচ্চ পটাশিয়াম রক্ত চাপ কম করতে সাহায্য করে। ২. হজম শক্তি বাড়ায়‚ কোষ্ঠকাঠিন্য তাড়ায় পেট ব্যথা বা কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যা থেকে সমাধান পেতে চাইলে তেঁতুলের সাহায্য নিন। তেঁতুলের মধ্যে টার্টারিক অ্যাসিড‚ ম্যালিক অ্যাসিড এবং পটাশিয়াম আছে যা কোষ্ঠন্যকাঠিন্য দূর করে। এখনো আয়ুর্বেদে তেঁতুল পাতা ডায়েরিয়া সারাতে ব্যবহার হয়। এছাড়া তেঁতুল গাছের ছাল এবং শিকড় পেটের ব্যথা সারাতে ব্যবহার ক

তাল এর উপকারিতা

Image
তাল কচি ও পাকা দুই অবস্থায়ই খাওয়া যায়। তাল যেমন নানাভাবে খাওয়া যায়, তেমনি তালের পুষ্টিগুণও অনেক। পাকা তালের প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য অংশে রয়েছে- খাদ্যশক্তি ৮৭ কিলোক্যালরি জলীয় অংশ ৭৭.৫ গ্রাম আমিষ .৮ গ্রাম চর্বি .১ গ্রাম শর্করা ১০.৯ গ্রাম খাদ্য আঁশ ১ গ্রাম ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম আয়রন ১ মিলিগ্রাম থায়ামিন .০৪ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন .০২ মিলিগ্রাম নিয়াসিন .৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম   তাল কিভাবে খাবেন তালসত্ত্ব : তালের রস ও চিনি দিয়ে বানানো হয় তালসত্ত্ব। তালের জুস : তালের রস, দুধ, চিনি দিয়ে জুস বানানো যায়। ডায়াবেটিক ও হৃদরোগীরা চিনি না দিয়ে খেতে পারবেন। তালের পিঠা : তালের গোলার সঙ্গে ডিম, চালের গুঁড়া, গুড় বা চিনি এবং কখনো নারিকেল দিয়ে তালের পিঠা বানানো হয়। তালের কেক : কেকের সব উপকরণের সঙ্গে তালের রস মেশানো হয়। তালের কেকের মধ্যে চিনি কম এবং ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করলে ডায়াবেটিক ও হৃদরোগীদের জন্য ভালো খাবার হতে পারে। কাঁচা তালের রসের বরফিও তৈরি করা হয়। শুধু তালের শাঁস আলাদাভাবেও খাওয়া যায়। উপক