পেপের উপকারিতা
বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা পাওয়া যাবে না যেখানে পেঁপে পাওয়া যায়
না।পেপের উপকারিতা অনেক।পেঁপে একটি সবজি বা ফল আমাদের শরীরের জন্য খুবই
উপকারী । কাঁচা অবস্থায় পেঁপে সবজি আর পাকা অবস্থায় ফল। এই জন্য পেঁপেকে
ফলের রাজা বলা হয়। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণ মিনারেল, অ্যানটিঅক্সিডেন্ট এবং
ভিটামিন রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শুধু তাই নয়, পেঁপেকে ভিটামিনের
স্টোর বলা হয়।জেনে নিন পেপের উপকারিতা গুলো।
অন্যান্য ফলের তুলনায় পেঁপেতে ক্যারোটিন অনেক বেশি থাকে। কিন্তু
ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকায় যারা মেদ সমস্যায় ভুগছেন তারা অনায়াসে
খেতে পারেন এ ফলটি।
নিচে কাঁচা পেঁপের উপকারিতা পুষ্টিগুণের কথা তুলে ধরা হল-
* অন্ত্রের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে : পেঁপের বীজে আছে এন্টি- অ্যামোবিক ও
এন্টি-প্যারাসিটিক বৈশিষ্ট্য যা অন্ত্রের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি
এটি বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিড রিফ্লাক্স, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, অন্ত্রের
সমস্যা, পেটের আলসার ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকেও রক্ষা করে।
* ত্বকের সমস্যা ও ক্ষত দূর করে : পেঁপেতে বিদ্যমান পুষ্টিগুণ ব্রণ ও
ত্বকের যে কোন ধরনের সংক্রামক থেকে রক্ষা করে। এমনকি এটি ত্বকের ছিদ্র
মুখগুলো খুলে দেয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটি ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার
করা হয়। কাঁচা পেঁপে ত্বকের মরা কোষগুলোকে পুনজ্জ্বীবিত করে তুলতে সাহায্য
করে।
* ব্যথা নিরাময় করে : পেঁপের পুষ্টিগুণ মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বেশি
দরকারী। কারণ এটি মহিলাদের যে কোনো ধরনের ব্যথা কমাতে কার্যকারী ভূমিকা
রাখে। পেঁপের পাতা, তেঁতুল ও লবণ একসাথে মিশিয়ে পানি দিয়ে খেলে ব্যথা
একেবারে ভালো হয়ে যায়।
* হৃদরোগের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় : এটি ব্লাড প্রেসার ঠিক রাখার
পাশাপাশি রক্তের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি শরীরের ভেতরের ক্ষতিকর
সোডিয়ামের পরিমাণকেও কমিয়ে দেয়। ফলে হৃদরোগের সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি
পাওয়া যায়। একারণেই হৃদরোগীদের সবসময় পেঁপে খেতে বলা হয়।
* অতিরিক্ত ক্যালরি ও চর্বি কমিয়ে দেয় : পেঁপেতে আছে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন সি, ই ও এ। এগুলো ১০০ গ্রামে মাত্র ৩৯ ক্যালোরি দেয়। এছাড়া এতে
বিদ্যমান এন্টি-অক্সিডেন্ট অতিরিক্ত ক্যালরি ও চর্বির পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
পাঁকা পেঁপে খাওয়ার ১০টি উপকারিতা
বিশ্বের
জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে একটি পেঁপে। স্বাদ ও গুনাগুণের কারণেই মানুষের কাছে
এর এতো কদর। এতে প্রাকৃতিক ফাইবার হিসাবে পুষ্টি এবং ভিটামিন এ, সি, এবং
কে, যেমন নিয়াসিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, প্রোটিন রয়েছে। চলুন তাহলে
জেনে নিই পেঁপের অসাধারণ কিছু উপকারিতা-
১। হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে:
নিয়োমিত পেপে খেলে অথেরোস্ক্লেরোসিস এবং ডায়াবেটিক হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। পেঁপের ভিটামিন এ, সি এবং ই, সমূহের এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এর চমৎকার উৎস।
এই তিনটি পুষ্টি কলেস্টেরল প্রতিরোধে সাহায্য করে, যা হার্ট এটাক ও স্ট্রোক এর প্রধান কারণ এক। পেঁপের এছাড়াও ফাইবার এর একটি ভাল উৎস, যা উচ্চ কলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
নিয়োমিত পেপে খেলে অথেরোস্ক্লেরোসিস এবং ডায়াবেটিক হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। পেঁপের ভিটামিন এ, সি এবং ই, সমূহের এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এর চমৎকার উৎস।
এই তিনটি পুষ্টি কলেস্টেরল প্রতিরোধে সাহায্য করে, যা হার্ট এটাক ও স্ট্রোক এর প্রধান কারণ এক। পেঁপের এছাড়াও ফাইবার এর একটি ভাল উৎস, যা উচ্চ কলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
২। দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করে:
অপথ্যালমোলজি আর্কাইভস প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিদিন তিনবার পেপে খেলে চোখের বয়সজনিত ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। বয়স্কদের মধ্যে দৃষ্টি ক্ষতি প্রাথমিক কারণ, প্রতিদিনের খাবারে তলনামূলক ভাবে কম পুস্টি গ্রহণ করা।
পেঁপে আপনার চোখের জন্য ভাল এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ, সি, ও ই এর উপস্থিতির কারণে।
অপথ্যালমোলজি আর্কাইভস প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিদিন তিনবার পেপে খেলে চোখের বয়সজনিত ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। বয়স্কদের মধ্যে দৃষ্টি ক্ষতি প্রাথমিক কারণ, প্রতিদিনের খাবারে তলনামূলক ভাবে কম পুস্টি গ্রহণ করা।
পেঁপে আপনার চোখের জন্য ভাল এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ, সি, ও ই এর উপস্থিতির কারণে।
৩। হজমে সহায়তা করে:
বদ হজমের রোগিদের পাকা পেঁপে খেলে খুব উপকার মিলবে। পাঁকা পেপে খেলে মুখে রুচি বাড়ে, সাথে সাথে খিদে বাড়ে তাছাড়া পাঁকা পেপে কোষ্ট পরিস্কার করে এবং বায়ু নাস করে। এ ছাড়াও পেপে অর্শ রোগের ক্ষেত্রেও বেশউপকারি।
বদ হজমের রোগিদের পাকা পেঁপে খেলে খুব উপকার মিলবে। পাঁকা পেপে খেলে মুখে রুচি বাড়ে, সাথে সাথে খিদে বাড়ে তাছাড়া পাঁকা পেপে কোষ্ট পরিস্কার করে এবং বায়ু নাস করে। এ ছাড়াও পেপে অর্শ রোগের ক্ষেত্রেও বেশউপকারি।
৪। অর্শ ও কৃমিনাশক:
কাঁচা পেঁপের আঠা বীজ কৃমিনাশক। কাঁচা পেঁপের আঠা চিনি বা বাতা্সোর সাথে মিশিয়ে খেলে অর্শ ও জন্ডিস সহ লিবারের নানা রোগ ভালো হয়। এ আঠা প্রতিদিন সকালে ৫- ৭ ফোটা আঠা বাতাসার সাথে মিসিয়ে খেলে অর্শের রক্ত পড়া বন্ধ হয়। ব্রন আচিল জিভের ঘায়ে এ আঠা লাগলে খুব উপকার হয়।
কাঁচা পেঁপের আঠা বীজ কৃমিনাশক। কাঁচা পেঁপের আঠা চিনি বা বাতা্সোর সাথে মিশিয়ে খেলে অর্শ ও জন্ডিস সহ লিবারের নানা রোগ ভালো হয়। এ আঠা প্রতিদিন সকালে ৫- ৭ ফোটা আঠা বাতাসার সাথে মিসিয়ে খেলে অর্শের রক্ত পড়া বন্ধ হয়। ব্রন আচিল জিভের ঘায়ে এ আঠা লাগলে খুব উপকার হয়।
৫। কোলেস্টেরল কমায়:
অন্যান্য ফলের মতই পেঁপেতে কোনো কোলেস্টেরল নেই। আর পেঁপেতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই কোলেস্টেরলের সমস্যায় যারা দুশ্চিন্তায় আছেন তাঁরা প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পেঁপে রাখুন। অন্যান্য কোলেস্টেরল যুক্ত খাবারের বদলে পেঁপে খান। তাহলে আপনার কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
অন্যান্য ফলের মতই পেঁপেতে কোনো কোলেস্টেরল নেই। আর পেঁপেতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই কোলেস্টেরলের সমস্যায় যারা দুশ্চিন্তায় আছেন তাঁরা প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পেঁপে রাখুন। অন্যান্য কোলেস্টেরল যুক্ত খাবারের বদলে পেঁপে খান। তাহলে আপনার কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৬। ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়:
পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ফ্লেভানয়েড, লুটেইন, ক্রিপ্টোক্সান্থিন আছে। এছাড়াও আরো অনেক পুষ্টি উপাদান আছে যেগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ক্যারোটিন ফুসফুস ও অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ফ্লেভানয়েড, লুটেইন, ক্রিপ্টোক্সান্থিন আছে। এছাড়াও আরো অনেক পুষ্টি উপাদান আছে যেগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ক্যারোটিন ফুসফুস ও অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৭। চুলের যত্নে:
চুলের যত্নে পেপে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে। টক দইয়ের সাথে পেপে মিশিয়ে চুলে মাখলে চুলের গোরা শক্ত হয় ও চুল ঝলমলে হয়। ১ চামচ পেপের আঠা ৭/৮ চামচ পানি দিয়ে ফেটে চুলের গোড়ায় কিছুক্ষন রেখে ধুয়ে ফেললে উকুন মরে যায়।
চুলের যত্নে পেপে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে। টক দইয়ের সাথে পেপে মিশিয়ে চুলে মাখলে চুলের গোরা শক্ত হয় ও চুল ঝলমলে হয়। ১ চামচ পেপের আঠা ৭/৮ চামচ পানি দিয়ে ফেটে চুলের গোড়ায় কিছুক্ষন রেখে ধুয়ে ফেললে উকুন মরে যায়।
৯। ত্বকের যত্নে:
পেঁপে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ফল, তাই ত্বকের লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। প্রতিদিন পাকা পেপের সাথে মধু ও টকদই মিশিয়ে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
পেঁপে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ফল, তাই ত্বকের লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। প্রতিদিন পাকা পেপের সাথে মধু ও টকদই মিশিয়ে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
১০। ব্রণের দাগ কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায় :
ব্রণের সমস্যা প্রায় সবারই থাকে। এসব ব্রণের কারণে মুখে খুব বাে ধরনের দাগ তৈরি হয়। এই বাজে দাগগুলো নিরাময় করতে পারে সুমিষ্ট এই ফলটি। মুখের অন্যান্য যেকোনো দাগ যেমন মেছতা, ফুস্কুরির দাগও খুব সহজেই দূর করে দিতে পারে।মুখের বিভিন্ন দাগ দূর করার পাশাপাশি পেঁপে ফলটি মুখের উজ্জ্বলতাও ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।
ব্রণের সমস্যা প্রায় সবারই থাকে। এসব ব্রণের কারণে মুখে খুব বাে ধরনের দাগ তৈরি হয়। এই বাজে দাগগুলো নিরাময় করতে পারে সুমিষ্ট এই ফলটি। মুখের অন্যান্য যেকোনো দাগ যেমন মেছতা, ফুস্কুরির দাগও খুব সহজেই দূর করে দিতে পারে।মুখের বিভিন্ন দাগ দূর করার পাশাপাশি পেঁপে ফলটি মুখের উজ্জ্বলতাও ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।
source: http://www.bd-pratidin.com
Comments
Post a Comment