বাঙ্গির উপকারিতা
বাঙ্গি গ্রীষ্মকালীন ফল। সহজপ্রাপ্য এবং দামে সস্তা হলেও এর
পুষ্টিমান কিন্তু কম নয়। প্রচণ্ড দাবদাহে এটা যেমন একদিকে তৃষ্ণা মেটায়
অন্যদিকে দেহে পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে হিটস্ট্রোক থেকেও রক্ষা করে।
বাঙ্গির অনেক জাত আছে। বাঙ্গি যেমন গোলাকার এবং লম্বাটে হতে পারে তেমনি এর
রঙেরও বিভিন্নতা দেখা যায়। বাঙ্গির বাইরের ত্বক হলুদ থেকে কমলা বর্ণের এবং
এর ভেতরের শাঁসও সাদা, হলুদ, সবুজ প্রভৃতি রঙের হতে পারে। বাঙ্গির
বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সুঘ্রাণ এবং মিষ্টি স্বাদ রয়েছে। বাঙ্গির পুষ্টিগুণ এবং
স্বাস্থ্যগত উপকারিতা অনেক। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় বাঙ্গি রক্তচাপ কমায়।
পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘এ’ সরবরাহ করে এই বাঙ্গি। ফলে দৃষ্টিশক্তি অক্ষুণ্ন
থাকে। ক্যাটারাক্টের ঝুঁকি কমে।
বাঙ্গিতে যথেষ্ট পরিমাণে
ভিটামিন ‘সি’ থাকে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে
এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বাঙ্গিতে ফোলেট, বি ভিটামিনসহ অনেক
খনিজ উপাদান আছে যা স্বাস্থ্যপ্রদ। বাঙ্গি ফুসফুসের প্রদাহ কমায়, ফুসফুসের
ক্যান্সার সৃষ্টির ঝুঁকি কমায় এবং ফুসফুসকে সুরক্ষা দেয়। পাকা বাঙ্গি
ক্ষারীয় হওয়ায় হাইপারঅ্যাসিডিটি দ্রুত কমায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
বাঙ্গিতে কোলেস্টরল নেই, স্ন্যাক হিসেবে চমত্কার। ওজন কমায় এবং পেটের চর্বি
হ্রাস করে। অনিদ্রা রোগে এবং মুত্রযন্ত্রের সুস্থতার জন্যও বাঙ্গি উপকারী।
গ্রীষ্মকালে খুব সহজেই বাঙ্গি শরীরের ক্লান্তি দূর করতে পারে। পেঁপে ও
তরমুজের সঙ্গে বাঙ্গি সালাদ অথবা ডেজার্ট হিসেবে খাওয়া যায়। আবার আঙ্গুর,
লেবু প্রভৃতির সঙ্গে সুস্বাদু বাঙ্গির শরবত তৈরি করা যায় সহজেই।
source: http://www.ittefaq.com.bd

Comments
Post a Comment