গাবের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

গাব খেতে খুব একটা মজাদার নয়। দেশি গাব হালকা মিষ্টি, কষযুক্ত একটি ফল। এটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকে এবং পাকলে হলদেটে রং ধারণ করে। জাল মজবুত ও পচন রোধ করার জন্য আমাদের দেশে কাঁচা গাবের আঠা জেলেরা মাছ ধরার জালে ব্যবহার করে। গাব ভেষজ চিকিৎসায় ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।ঝোপঝাড়ে অযত্ন আর অবহেলায় বেড়ে ওঠে গাব গাছ। হালকা মিষ্টি স্বাদের মোহনীয় গন্ধের এই ফলটির ফলন অনেক বেশি। কোনো প্রকার যত্ন ছাড়াই গাব পরিপক্কতা লাভ করে। এই ফলের মৌসুমে সুলভ মূল্যেই সংগ্রহ করা যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যউপযোগী গাবে রয়েছে খাদ্যশক্তি ৫০৪ কিলোক্যালরি, জলীয় অংশ ৮৩.০ থেকে ৮৪.৩ গ্রাম, আমিষ ২.৮ গ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম, শর্করা ১১.৮ গ্রাম, খাদ্যআঁশ ১.৮ গ্রাম, চিনি ১১.৪৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ৩৫ আইইউ, ফসফরাস ১৮ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৬ মিলিগ্রাম, থায়ামিন ০.০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ১৮ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১১০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৩০৩ মিলিগ্রাম। গাবের এসব পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরকে রক্ষা করে নানা রোগ থেকে। আসুন জেনে নেয়া যাক-



* ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ, কফ, কাশি ইত্যাদি উপশমে গাব সহায়তা করে।
* উচ্চমাত্রায় খাদ্যশক্তি থাকায় আপনার শরীরের দূর্বলতা দূর হয়ে যায়।
* গাবে থাকা ক্যালসিয়াম হাঁড়কে মজবুত করে।
* ব্লাড প্রেশার ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
* গাবে থাকা খাদ্যআঁশ আপনার হজম শক্তিকে বাড়িয়ে দেয়।
* হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
* গাব অন্ত্রের বিভিন্ন রোগ এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
* এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
* দেশি গাবের ফলের খোসার গুঁড়া আমাশয়, একজিমা ও চর্মরোগের মলম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
* খোসা গরম পানিতে সেদ্ধ করে পান করলে পাতলা পায়খানা ও ডায়রিয়া দূর হয়।
* পাতা ও বাকল গরম পানিতে সেদ্ধ করে পান করলে কৃমি, পাতলা পায়খানা, আমাশয় ও মূত্র সংক্রান্ত রোগ উপশম হয়।
source: https://banglarkhobor24.com

Comments

Popular posts from this blog

ননী ফলের ১০টি অজানা উপকারিতা

নারিকেল এর উপকারিতা