Posts

কমলার উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ

Image
কমলা একটি সুস্বাদু ও সহজলভ্য ফল যা প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। চোখ ধাধানো রঙ ও পুষ্টিগুণে ভরপুর কমলা ফল হিসেবে বা জুস করে খাওয়া হয় কিংবা জেম, জেলি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন কমলা খেলে শরীরের নানান সমস্যা ও রোগ বালাই থেকে দূরে থাকা যায়। কমলা লেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফ্ল্যাভনয়েড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও ডায়েটারি ফাইবার থাকে। একজন মানুষের প্রতিদিন যে পরিমাণ ভিটামিন সি প্রয়োজন হয়, তার প্রায় পুরোটাই একটি কমলালেবুতে পাওয়া যায়। ওজন কমানো, ত্বকের পুষ্টি এমন কি হৃদযন্ত্র ভালো রেখে শরীরে রক্ত চলাচল নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে কমলা। তাছাড়া কমলায় রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা সেল ড্যামেজ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।  কমলার রয়েছে আরো অনেক উপকারিতা, আসুন জেনে নেই কমলার উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সমূহ। কমলার পুষ্টিগুণঃ কমলা লেবু নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম কমলাতে রয়েছে – উপাদান পরিমাণ খাদ্যশক্তি ৪৯ কিলোক্যালরি আমিষ ০.৯৪ গ্রাম শর্করা ১১.৮৯ গ্রাম ফাইবার  ২.৫ গ্রাম কোলেস্টেরল ০ মিলিগ্রাম চর্

আপেল খাওয়ার ১০টি উপকারিতা

Image
খিদে পেলেই তো হাতে তুলে নিচ্ছি বার্গার অথবা পিৎজা। পেট ভরলেই ভেবে নেই শরীরও ভরলো। যদিও, এটি খুবই ভুল ধারণা। আসলে এই ধরনের খাবারগুলো আমাদের শরীরকে আরও খারাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই, শরীরে বাসা বাঁধছে হাজারো সমস্যা। ২০০৪ সালে আমেরিকায় ১০০-এরও বেশি খাবারের ওপর গবেষণা করে হয়। মূলত, খাদ্যগুলোর মধ্যে কতটা পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, তা জানতেই এই গবেষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে লাল এবং সবুজ আপেল যথাক্রমে ১২ এবং ১৩তম স্থানে রয়েছে। তো দেখে নেওয়া যাক, আপেলের কোন কোন গুণ আমাদের কিভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ১.সাদা ঝকঝকে দাঁত আপেল খেলে দাঁতের দারুণ উপকার হয়। তার কারণ, আপেলে কামড় দিয়ে যখন আমরা চিবোতে শুরু করিই, তখন আমাদের মুখের ভিতর লালার সৃষ্টি হয়। এই পদ্ধতিতে দাঁতের কোণা থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে আসে। এর ফলে সেই ব্যাকটেরিয়া আর দাঁতের কোনও ক্ষতি করতে পারেনা। তাই বলে, শুধু আপেল খেয়ে দাঁতের যত্ন নিতে যাবেন না যেন! মনে করে, পেস্ট ব্রাশ ব্যবহার করে দাঁতের যত্ন নেবেন। ২.ক্যান্সার দূর করে: আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপেল

সুস্বাদু স্ট্রবেরীর ১০টি অনন্য স্বাস্থ্য উপকারিতা

Image
স্ট্রবেরী! নাম শুনলেই জিভে পানি চলে আসে অনেকেরই। টকটকে লাল রঙের এই লোভনীয় ফলটি দেখতে যেমন সুন্দর স্বাদেও তেমন অতুলনীয়। শুধু রূপ আর স্বাদই না, এর আছে বহুগুণ। স্ট্রবেরীতে আছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান যা শরীরের নানান রোগবালাই দূর করে আর শরীরকে রাখে সুস্থ।  আসুন জেনে নেয়া যাক স্ট্রবেরীর ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় স্ট্রবেরীতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন রকম সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। মাত্র এক কাপ স্ট্রবেরী প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর চাহিদার ১০০% পূরণ করতে সক্ষম। হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমায় দেখতে কিছুটা হার্টের মত এই ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভনয়েড ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই উপাদান গুলো শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদপিন্ড ভালো রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও স্ট্রবেরী রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। ডায়াবেটিস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে স্ট্রবেরীতে আছে প্রচুর ফাইবার যা ডায়াবেটিস ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। ফাইবার রক্তের চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটি

সফেদা ফলের ১৪টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

Image
সফেদা (Sapota) একটি পুষ্টি মান সমৃদ্ধ অত্যান্ত মিষ্টি, সুস্বাদু ও সুন্দর গন্ধযুক্ত একটি ফল। এটিকে প্রাকৃতিক পুষ্টির দোকান ঘর বলা হয়। এটি খাদ্যশক্তি কিলোক্যালরি শর্করা, আমিষ, ভিটামিন, ফলেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়া, ফসফরা, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ও জিংক এর একটি সমৃধ্য উৎস। এছাড়াও এতে রয়েছে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের, ভিটামিন এ, সি এবং ই, তামা, লোহা, ইত্যাদি। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য সফেদায় রয়েছে খাদ্যশক্তি ৮৩ কিলোক্যালরি, শর্করা ১৯.৯৬ গ্রাম, আমিষ ০.৪৪ গ্রাম, ভিটামিন বি২ ০.০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৩ ০.২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৫ ০.২৫২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ ০.০৩৭ মিলিগ্রাম, ফলেট ১৪ আইইউ, ভিটামিন সি ১৪.৭ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ২১ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৮ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১২ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১২ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৯৩ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১২ মিলিগ্রাম, জিংক ০.১ মিলিগ্রাম।   চলুন জেনে নেই সফেদার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা: ১। সফেদা একটি ফাইবার সমৃদ্ধ ফল, তাই একে প্রাকৃতিক জোলাপ হিসেবে ব্যাবহার করা যায়। এতে পর্যাপ্ত খাদ্য আঁশ রয়েছে যা হজম বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্য

শশার উপকারিতা

Image
সারা বিশ্বে আবাদ হওয়ার দিক থেকে ৪ নম্বরে রয়েছে যে সবজিটি, সেটি হলো শসা। শসার রয়েছে হরেক গুণ। রূপচর্চা ও মেদ নিয়ন্ত্রণসহ নানা উপযোগিতা আছে এই সহজলভ্য সবজির। শসার হাজার গুণের মধ্যে ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন খাদ্য বিশেষজ্ঞরা ।  আসুন , একবার নজর বোলাই : দেহের পানিশূন্যতা দূর করে ধরুন আপনি এমন কোথাও আছেন, যেখানে হাতের কাছে পানি নেই, কিন্তু শসা আছে। বড়সড় একটা শসা চিবিয়ে খেয়ে নিন। পিপাসা মিটে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন চনমনে।কারণ, শসার ৯০ শতাংশই পানি। দেহের ভেতর - বাইরের তাপ শোষক কখনো কখনো আপনি শরীরের ভেতর-বাইরে প্রচণ্ড উত্তাপ অনুভব করেন। দেহে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। এ অবস্থায় একটি শসা খেয়ে নিন।এ ছাড়া সূর্যের তাপে ত্বকে জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে ত্বকে ঘষে নিন। নিশ্চিত ফল পাবেন। বিষাক্ততা দূর করে শসার মধ্যে যে পানি থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাটার মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খাওয়ায় কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়। প্রাত্যহিক ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে প্রতিদিন আমাদের দেহে যেসব ভিটামিনের দরকার হয়, তার বেশির ভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটাম